দিনাজপুরের লিচুর ইতিহাস এবং ঐতিহ্য
দিনাজপুরের লিচুর ইতিহাস বেশ পুরোনো এবং সমৃদ্ধ। বলা হয়ে থাকে, দিনাজপুরে লিচু চাষের শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনামলে। স্থানীয় জমিদার ও ব্রিটিশ শাসকরা এ অঞ্চলে লিচুর চাষাবাদ প্রচলন করেন। মূলত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লিচুর গাছ এনে দিনাজপুরে রোপণ করা হয়। দিনে দিনে এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে লিচুর গাছ মানিয়ে নিতে শুরু করে এবং উচ্চ মানের লিচু উৎপাদন শুরু হয়।
১৯ শতকের শেষে এবং ২০ শতকের শুরুতে দিনাজপুরের লিচুর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশজুড়ে এর চাহিদা বাড়তে থাকে।দিনাজপুরের লিচু এখন শুধুমাত্র একটি ফল নয়, এটি এ অঞ্চলের মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রতিবছর লিচুর মৌসুমে দিনাজপুরে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যেখানে লিচুর বিভিন্ন প্রজাতি প্রদর্শিত হয় এবং ক্রেতাদের আকর্ষণ করে।
লিচুর ফলন
মোট লিচু গাছের সংখ্যা
গড়ে ১ শতক জমিতে ১টি গাছ
গড়ে ১হেঃ জমিতে ২৪৭টি গাছ
১৫০০ হেঃ জমিতে ৩,৭০,৫০০ টি গাছ
লিচুর ফলনঃ-
গড়ে প্রতি গাছে ৪০০০ টি লিচু ( অন ইয়ার )।
১৫০০ হেঃ (৩,৭০,৫০০ গাছ) ফলন ১৪৮,২০,০০০ টি।
এখন ধরুন, আপনি আপনার জমিতে কলা চাষের উদ্যোগ নিলেন। ভাল পরিচর্যা ও নিয়মিত দেখভালের পরে বেশ ভাল ফল পেলেন এবং লাভবান হলেন। স্বাভাবিকভাবেই সবাই এখন আপনার এই উদ্যোগরে তারিফ করবে এবং আপনাকে অনুসরনও করবে। এভাবেই একজন দুজন করে একসময় আপনার আশপাশ কলা বাগানে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। কারন, আপনি কলা চাষে অভূতপূর্ব সফলতা পেয়েছেন।
এই সফলতার পিছনে কলা চাষের জন্য আপনার মাটির উর্বরতার ক্রেডিট কিন্তু দিতেই হবে। পাশাপাশি আপনার ভাল পরিচর্যারও ফল এটা। আপনার জমি কোন ধরনের ফসল চাষের উপযোগী আগে সেটা বুঝতে হবে। ঐ ফসল বা উৎপাদিত পন্য চাষের কাঁচামাল আপনার এলাকায় কি পরিমান সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী এবং উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করার জন্য উপযুক্ত ক্রেতার সমাগম ও চাহিদা আছে কি না তার উপরও নির্ভর করে আপনার চাষাবাদের সফলতা। সাথে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগও বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
সর্বোপরি, কোন ফসল চাষের উপযোগী পরিবেশ সে অঞ্চলে ঐ ফসল চাষের আধিক্য তৈরি করে। সবদিক থেকেই দিনাজপুর লিচু চাষের জন্য উপযোগী বিধায় ঐ অঞ্চলে অধিক পরিমাণ লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে।
Source: